Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতাভূক্ত এলাকায় ডিসেম্বর,২০১৩ খ্রিঃ পর্যনত্ম নির্মিত বিদ্যুতায়িত লাইন ২,৪৬,৩৭২ কিঃ মিঃ, যা সেপ্টেম্বর,২০১৪ খ্রিঃ মাস পর্যনত্ম বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ২,৫৪,৪০১ কিঃ মিঃ অর্থাৎ বর্তমান সরকার আমলে ৮.০২৯ কিঃ মিঃ নতুন লাইন নির্মান করে ৬.১১ লড়্গ বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এপ্রিল’ ২০১৫ খ্রিঃ মাস পর্যন- সর্বমোট প্রায় ১ কোটি ০৪ লক্ষ বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। একই সময়ে নতুন ১৫১টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মান করে উপকেন্দ্রের সংখ্যা ৬২৫টিতে উন্নীতকরনসহ উপকেন্দ্রের মোট ড়্গমতা ৫,২০০ এমভিএ হতে ৬৩৩২.৭ এমভিএ-তে উন্নীত করা হয়েছে। এ সকল অবকাঠামোর মাধ্যমে এ পর্যন- ৫২,৬৮১টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। সংযোগকৃত গ্রাহকের মধ্যে ১.৪৬ লড়্গ শিল্প সংযোগ ও ২. ৯ লক্ষ সেচ সংযোগ রয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বিপুল পরিমানে গ্রামীন জনগোষ্ঠির কর্মসংস'ানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের ব্যবস'া গ্রহন নিশ্চিত হয়েছে অন্যদিকে তেমনি অধিক ফসল উৎপাদনে পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচী প্রভুত অবদান রেখে চলেছে। ৮৯.৫৫ লক্ষ আবাসিক সংযোগ প্রদানের ফলে আনুমানিক ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ব্যক্তি পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করছেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের ইতিবাচক প্রভাব বিদ্যুতায়িত এলাকার সকল ক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট ভাবে প্রতিভাত হচ্ছে। পলস্নী অঞ্চলের জনসাধারনের একাংশ যেমন বিদ্যুতের আলোকে উদ্ভাসিত হয়েছেন, অন্য অংশ যারা বিদ্যুতের সুবিধা প্রত্যাশী তারা পলস্নী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির সম্ভবনার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাদের চাহিদার প্রতি আমরা সচেতন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পলস্নী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে। জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে সকল শ্রেনীর গ্রাহকদের বক্তব্য শ্রবন করে যথোপযুক্ত ব্যবস'া গ্রহন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। গ্রামীণ জনগনের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই এ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়েছিল। সে হাসি যেন মস্নান না হয় সেদিকে আমাদের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পলস্নী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার সকল ড়্গেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সততা ও একনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে । গ্রাহকদের সুবিধার্থে টেলিটকের ১৩ হাজার সংগ্রহ পয়েন্ট থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে ৯৭ লড়্গ গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের কার্যক্রম শুরম্ন করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল আদায় কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ফলে গ্রাহক কোনরূপ ভোগানিত্ম ছাড়াই দিবা-রাত্রি ২৪ ঘন্টা তাদের সুবিধামত জায়গা থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন। আমি অবগত হয়েছি যে, পিরোজপুর পল্লী বিদ্যূৎ সমিতি বিগত ০৮ ই মে’ ১৯৮৬ খ্রিঃ বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরম্ন করেছে। এ সমিতিতে এপ্রিল’২০১৫ খ্রিঃ পর্যন- ৪,০৮৫.৪৯৩ কিঃ মিঃ লাইন নির্মান করে মোট ১,৩২,১৩৬ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। বিগত বৎসর সমূহে খুচরা বিক্রয় মুল্যের তুলনায় পাইকারী বিক্রয় মুল্যের হার অধিকতর হওয়ায় পলস্নী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালনায় আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ পলস্নী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তরফ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। সিষ্টেম লস্‌ হ্রাস করে ও বিদ্যুতের চুরি রোধ করে পরিচালন ব্যয়ের ঘাটতি মোকাবিলার লক্ষ্যে সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারী/বোর্ড পরিচালক/গ্রাহক সদস্যবৃন্দকেও সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহন করতে হবে। আজকে সমিতির সর্বসত্মরের গ্রাহক সদস্যদের উন্নত সেবা প্রদান, গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান এবং অধিক সংখ্যক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করার চেতনায় সকলের সমন্বিত দৃপ্ত অঙ্গিকার ঘোষিত হবে- এ কামনা করছি। গ্রাহক সদস্যগনকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন সমিতির উত্তরোত্তর উন্নয়নে স্ব স্ব ক্ষেত্র থেকে তাঁরা সকল সময়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখেন। আমি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি এবং সমিতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার রহমত কামনা করছি।